এবার হবিগঞ্জ-২ আসনে তিনবারের এমপি ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মজিদ খানের ঈগল প্রতীকের প্রচারণায় যে জীবন্ত পাখিটি প্রদর্শন করা হয়েছে তা ঈগল নয়। ঈগল ভেবে প্রচারণায় প্রদর্শন করা পাখিটির নাম ‘হিমালয়ান শকুন’।
এদিকে মিছিলকারীদের টানা-হেঁচড়ায় পাখটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, বানিয়াচং উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে অসুস্থ শকুনটি বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তরে আনা হয়েছে। ৬/৭ দিন চিকিৎসা দিয়ে এটিকে চুনারুঘাটের রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে অবমুক্ত করা হবে।
জানা গেছে, গত ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নের আনন্দ বাজারে শকুনটি নিয়ে এমপি মজিদ খানের নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হয়। পরে এ ঘটনা জেলাজুড়ে আলোচিত হয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, কাগাপাশা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেমের নেতৃত্বে জীবন্ত পাখি হাতে নিয়ে মিছিল করা হয়। নিজের ফেসবুক আইডির টাইমলাইনে তিনি এ প্রচারণা লাইভ প্রচার করেন।
পরে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমানের মাধ্যমে মিছিলকারীদের কয়েকজন পাখিটিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হস্তান্তর করেন। এদিকে, নির্বাচনী প্রচারে জীবন্ত প্রাণী ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আচরণবিধির এ আইন না মানলে হতে পারে জেল-জরিমানা।
গত ২৫ ডিসেম্বর এমন নির্দেশনা দিয়ে তা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাস্তবায়নের জন্য বলেছে নির্বাচন কমিশন। সংস্থাটির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান নির্দেশনাটি সব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন, যখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচারে ব্যবহার করছেন জীবন্ত প্রাণী।